বড়পীর রহঃ এর কারামত মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় Part 7 - Boro Pir Abdul Kadir Jilani Ar Jiboni

Boro Pir Abdul Kadir Jilani Ar Jiboni

বড়পীর (রহঃ)-এর কারামত মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায়

বড়পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ)-এর সারাটি জীবনই ছিল কারামত পূর্ণ।

মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থায় তাঁর অনেক আশ্চর্য কারামত প্রকাশিত হয়ে পড়ে।

বর্ণিত আছে, একদিন তিনি মায়ের গর্ভে অবস্থানরত সময় তাঁর অলৌকিক ক্ষমতা বলে
বিপদাপন্ন মাতা সাহেবানের যে উপকার করেন তা আওলিয়াদের কারামতের ইতিহাসে
নজীরবিহীন ঘটনা। একদিন ফকির বেশে ভণ্ড এক ব্যক্তি এসে সাইয়্যেদ আবু সালেহ মুসা (রহঃ)-
এর গৃহের সামনে এসে দাঁড়াল। সে ভিক্ষার জন্য অনুরােধ করতে লাগল। ঐ সময় হযরত আবু

সালেহ মুসা (রহঃ)-এর একমাত্র অন্তঃসত্তা স্ত্রী হযরত ফাতেমা (রহঃ) ছাড়া আর কোন লােক গৃহে
ছিলনা। তিনি একজন অপরিচিত পুরুষ ফকিরের কাছে যেয়ে ভিক্ষা প্রদান করা ঠিক হবেনা মনে
করে ভিক্ষা দিলেন না। কিন্তু ভিক্ষুক নাছাের বান্দা। সে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে বার বার ভিক্ষার
আশায় কাকুতি-মিনতি করতে লাগল। তার এ করুণ মিনতিতে হযরত ফাতেমা (রহঃ)-এর মন
নরম হয়ে গেল। অগত্যা তিনি পর্দার আড়াল থেকে ভিক্ষুককে ভিক্ষা দিলেন। ভিক্ষুক বুঝল যে

বাড়িতে একমাত্র রমণী ছাড়া আর কোন লোক নেই।

ভিক্ষুকের স্বভাব ছিল খারাপ। তার অভ্যেস ছিল লাম্পট্াযপনা করা। কাজেই সুযােগ বুঝে
কুমতলবে ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ল। ভিক্ষুকের এ মতলব দেখে উম্মুল খায়ের ফাতেমা (রহঃ) ভয়
পেয়ে গেলেন। তিনি ভিক্ষুকের হাত হতে নিজেকে বাঁচানাের জন্য দৌড় দিয়ে ঘরের কোণায় যেয়ে
আল্লাহ্ তাআলার কাছে বললেন, হে আল্লাহ্। তুমি সব কিছুই জান, তােমার এ অধম দাসীকে এ
চরম সংকট থেকে রক্ষা কর। ফাতেমা (রহঃ)-এর দোয়া আল্লাহ্ তা'আলার দরবারে কবুল হয়ে
গেল। মুহূর্তের মধ্যে বিরাট এক বাঘ এসে বিকট গর্জন করে ভিক্ষুকের ঘাড়ের উপর লাফিয়ে
পড়ে। কিছু বুঝে উঠার আগেই ভিক্ষুকের ঘাড় ভেঙ্গে সমস্ত শরীর ছিন্ন ভিন্ন করে বাঘটি মুহূর্তের
মধ্যে অদৃশ্য হয়ে গেল। উম্মুল খায়ের ফাতেমা (রহঃ)-এর রহস্য বুঝতে পারলেন না,।

 
মহান আল্লাহ্ তা'আলার কুদরতে তিনি এই মহান বিপদ থেকে রক্ষা পেলেন। কিন্তু এ
ঘটনার রহস্য তিনি উপলব্ধি করতে পারলেন না। এ রহস্য হল বড়পীর হযরত আবদুল কাদের
জিলানী (রহঃ) মায়ের গর্ভে হতেই মায়ের এ অবস্থা দেখতে পেলেন। আল্লাহ্ তাআলার ইশারায়
তাঁর পবিত্র আত্মা মায়ের গর্ভ হতে বের হয়ে বাঘের রূপ ধারণ করে ভিক্ষুককে হত্যা করে মায়ের

ইজ্জত হেফাযত করলেন।

ছােটবেলায় তাঁর মাতা মাতৃক্নেহের কথা উত্থাপন করলে বড়পীর হযরত আবদুল কাদের
জিলানী (রহঃ) এ ঘটনা বর্ণনা করলেন। পুত্রের কাছে এ ঘটনা শুনে তিনি বুঝতে পারলেন সে
দিনের
রূপ ধারণ করে তাঁর সম্মান রক্ষা করেছিলেন।
মহান আল্লাহ্ তা'আলার রহমতের কোন সীমা নেই। তিনি যাকে রক্ষা করেন তার ক্ষতি
কেউ করতে পারেনা।
ওলী আল্লাহগণ আল্লাহর নির্দেশে পৃথিবীতে এ ধরনের আশ্চর্য ঘটনা ঘটিয়ে থাকিতেন। এতে
দুনিয়াবাসী প্রভূত কল্যাণ লাত করে থাকে এবং মহান আল্লাহ্ তা'আলার শক্তি সম্পর্কে অবহিত
হতে পারে। আর অলীগণের এ ধরণের কাজকে কারামত বলা হয়।

Post a Comment

0 Comments